সিবিএন ডেস্ক:

অবশেষে সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হওয়া কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের প্রথম দুই কিলোমিটার অংশ পুনর্নির্মাণ হতে যাচ্ছে। শিগগিরই প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পর্যটক, ব্যবসায়ী, চালক ও স্থানীয়রা বলছেন, বিকল্প সড়কে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং মেরিন ড্রাইভের পূর্ণ সুবিধা আবারও উপভোগ করা যাবে।

মেরিন ড্রাইভের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজারের কলাতলী থেকে বেলা হ্যাচারি পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের একটি বড় অংশ সাগরের আগ্রাসনে বিলীন হয়েছে। অনেক স্থাপনা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। স্থাপনা রক্ষায় কেউ কেউ ব্যক্তিগত অর্থায়নে বাঁধ নির্মাণ করেছেন, তবে মেরিন ড্রাইভের ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি পুনর্নির্মাণের অপেক্ষায় ছিল দীর্ঘদিন।

এই কারণে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের ফলে নিয়মিত যানজট ও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা। টুরিস্ট জীপ চালক আব্দুল হাকিম বলেন, “বিকল্প সড়কটি সরু হওয়ায় সবসময় যানজট লেগে থাকে। এতে আমরা এবং পর্যটকরা চরম দুর্ভোগ পোহাই। মেরিন ড্রাইভের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে শুনে খুব ভালো লাগছে।”

ইজিবাইক চালক শফি উল্লাহ জানান, “বিকল্প সড়কে ২ কিলোমিটার যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে, আর ছুটির দিনগুলোতে সময় আরও বেশি।” মেরিন ড্রাইভ পুনরায় চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।

হোটেল সী ক্রাউনের ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন মনে করেন, মেরিন ড্রাইভের পুনর্গঠন পর্যটকদের জন্য বিশাল সুবিধা হবে এবং কক্সবাজারে বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের দুর্ভোগ কমবে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, “মেরিন ড্রাইভের বিলীন হওয়া অংশে অনেক স্থাপনা রয়েছে, যেমন হ্যাচারি ও হোটেল। প্রতিরক্ষা বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ হলে এসব স্থাপনা রক্ষা পাবে এবং পর্যটন শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে।”

মেরিন ড্রাইভের এই পুনর্গঠন দ্রুত সম্পন্ন হলে, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং পর্যটন খাতের সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।